Friday 4 October 2019

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ি যাবে ভারতের ট্রেন

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ি যাবে ভারতের ট্রেন

৫ বছর পর বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের ট্রেন চলবে। ট্রেনটি ভারত থেকে বাংলাদেশের প্রবেশ করে আবার ভারতের দিকে যাবে। ইতোমধ্যেই চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ব্রডগেজ রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর ওই রেলপথের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন রতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভেতর ঢুকে খানিকটা পথ অতিক্রম করার পরে আবার ভারতে প্রবেশ করতো। কিন্তু ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৫৫ বছর পরে সেই পথ আবার চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম জানান, চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রেলপথ আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ শেষ করা হবে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ভারত তাদের দেশের ভেতরের রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ হলেই রেল চলাচল শুরু করা যাবে।
২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এই রেলপথের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় অংশে কাজ শুরু হলেও, একটু দেরিতে শুরু হয় বাংলাদেশ অংশের কাজ।
২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এই রেলপথের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। এর ফলে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা একটি রেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে খানিকটা পথ পাড়ি দিয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করে গন্তব্যে পৌঁছাবে। এভাবে যাতায়াতের ফলে ভারতের রেলে যাত্রাপথ অন্তত ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব ৫৩৭ কিলোমিটার। ২০২০ সালের জুলাই মাস নাগাদ এই পথে রেল যোগাযোগ চালু করতে চায় দুই দেশের সরকার।
বাংলাদেশের রেলওয়ের কর্মকর্তা খোন্দকার শহিদুল ইসলাম জানান, খুলনা-কলকাতা বা কলকাতা-ঢাকা রেল যোগাযোগের মতো এই রেলপথটি বাংলাদেশ ও ভারত, উভয় দেশের রেলই ব্যবহার করবে। ভারতের রেল যেমন এই পথ ব্যবহার করে শিলিগুড়ি যাবে, তেমনি বাংলাদেশের রেলও পথটি ব্যবহার করে শিলিগুড়ি থেকে পণ্য আনা নেওয়া করতে পারবে।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে সরকারের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ব্যয়ের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।

Wednesday 2 October 2019

পপির মিডিয়া আড়াল নিয়ে ‘এক্সপ্রেশন অব লাভ’

পপির মিডিয়া আড়াল নিয়ে ‘এক্সপ্রেশন অব লাভ’


পপির মিডিয়া আড়াল নিয়ে ‘এক্সপ্রেশন অব লাভ’

গ্ল্যামারাস চিত্রনায়িকা ও মডেল পপি বেশ ক’বছর ধরে মিডিয়া থেকে নিজিকে প্রায় গুটিয়ে রেখেছেন। পরিবার পরিজন থেকেও আলাদা এখন। এই নিয়ে রিউমারও রয়েছে প্রচুর। কিন্তু পপি কখনওই স্পষ্ট করে কাউকে কিছু বলেননি এ বিষয়ে। এদিকে পপি যেখানে থাকেন তার পাশের ফ্ল্যাটে বাস করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক যুবক। যার বাবা-মা নেই। ছোট চাচার সঙ্গে ঐ ফ্ল্যাটে উঠেছে কিছু দিন আগে। ঘটনার পরম্পরায় পপির সঙ্গে পরিচয় হয় সেই যুবকের। এক সময় মানষিক ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে। যদিও দুজনের বয়সের পার্থক্য রয়েছে বেশ।




গ্ল্যামারাস চিত্রনায়িকা ও মডেল পপি বেশ ক’বছর ধরে মিডিয়া থেকে নিজিকে প্রায় গুটিয়ে রেখেছেন। পরিবার পরিজন থেকেও আলাদা এখন। এই নিয়ে রিউমারও রয়েছে প্রচুর। কিন্তু পপি কখনওই স্পষ্ট করে কাউকে কিছু বলেননি এ বিষয়ে। এদিকে পপি যেখানে থাকেন তার পাশের ফ্ল্যাটে বাস করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক যুবক। যার বাবা-মা নেই। ছোট চাচার সঙ্গে ঐ ফ্ল্যাটে উঠেছে কিছু দিন আগে।


ঘটনার পরম্পরায় পপির সঙ্গে পরিচয় হয় সেই যুবকের। এক সময় মানষিক ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে। যদিও দুজনের বয়সের পার্থক্য রয়েছে বেশ। সময়ের ব্যাবধানে পপির মিডিয়া ছেড়ে যাওয়া এবং একা থাকার নেপথ্যের ঘটনা যুবকটি জেনে যায়। জানতে পারে, মকবুল নামের এক গডফাদারের কারণেই রুপালী পর্দা থেকে আড়াল হয়ে আছেন পপি! 

এ নিয়ে শুরু হয় পপির জীবনে নতুন নাটকীয়তা।এভাবেই এগুতে থাকে পপি অভিনীত ঈদের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘এক্সপ্রেশন অব লাভ’ এর গল্প। রুদ্র মাহফুজের রচনা এবং বি ইউ শুভ’র পরিচালনায় ঈদের এই বিশেষ টেলিফিল্মটিতে চিত্রনায়িকা পপি ছাড়াও অভিনয় করেছেন পরাগসহ অনেকে।
বাঙ্গালীর বংশ পদবীর ইতিহাস

বাঙ্গালীর বংশ পদবীর ইতিহাস

 



খুব বেশি প্রাচীন নয়।  মধ্যযুগে সামন্তবাদী সমাজ ব্যবস্থার ফলে পরবর্তীতে বৃটিশ আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সমান্তরালে বাঙালির পদবীর বিকাশ ঘটেছে বলে মনে করা হয়।  অধিকাংশ ব্যক্তি নামের শেষে একটি পদবী নামক পুচ্ছ যুক্ত হয়ে আছে।  যেমন উপাধি, উপনাম কিংবা বংশসূচক নামকে সাধারণ ভাবে পদবী বলা হয়।  বাঙালির জমি- জমা বিষয় সংক্রান্ত কিছু পদবী যেমন- হালদার, মজুমদার, তালুকদার, পোদ্দার, সরদার, প্রামাণিক, হাজরা, হাজারী, মন্ডল, মোড়ল, মল্লিক, সরকার, বিশ্বাস ইত্যাদি বংশ পদবীর রয়েছে হিন্দু -মুসলমান নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের একান্ত রূপ।  বাঙালি মুসলমানের শিক্ষক পেশার পদবী হলো-খন্দকার, আকন্দ, নিয়াজী ইত্যাদি।  আর বাঙালি হিন্দুর শিক্ষক পদবী হচ্ছে দ্বিবেদী, ত্রিবেদী, চর্তুবেদী ইত্যাদি।  এবার আপনাদের জানাবো বাঙালির কিছু বিখ্যাত বংশ পদবীর ইতিহাস।  যেমন-শিকদার, সৈয়দ, শেখ, মীর, মিঞা, মোল্লা, দাস, খন্দকার, আকন্দ, চৌধুরী, ভুইয়া, মজুমদার, তরফদার, তালুকদার, সরকার, মল্লিক, মন্ডল, পন্নী, ফকির, আনসারী, দত্ত ইত্যাদি। 

শিকদার : সুলতানি আমলে কয়েকটি মহাল নিয়ে গঠিত ছিল এক একটি শিক। আরবি শিক হলো একটি খন্ড এলাকা বা বিভাগ। এর সাথে ফারসি দার যুক্ত হয়ে শিকদার বা সিকদার শব্দের উদ্ভব হয়েছে। এরা ছিলেন রাজস্ব আদায়কারী রাজকর্মচারী। শব্দকোষে যাকে বলা হয়েছে শান্তিরক্ষক কর্মচারী।  এরা শিক বন্দুক বা ছড়ি বন্দুক ব্যবহার করতো বলে শিকদার উপাধী পেয়েছিল; সেই থেকে বংশ পরমপরায় শিকদার পদবীর বিকাশ ঘটে। 
 সৈয়দ : সৈয়দ পদবী মূলত এসেছে নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা ও হযরত আলীর বংশ ধর থেকে।  প্রায় দেড় হাজার বছর আগের এই বংশের সাথে কোনা যোগসূত্র না থাকলেও বাংলাদেশের অনেক মুসলমান পরিবার সৈয়দ বংশ পদবী ব্যবহার করে নিজেদের সম্ভ্রান্ত ও কুলীন মুসলমান বলে দাবি করে থাকেন। বাঙালি মুসলমান সমাজে সৈয়দ পদবীর অপব্যবহার ও পক্ষেপণ ঘটেছে সবচেয়ে বেশি।  প্রকৃত পক্ষে সৈয়দ নন এবং পারিবারিক কোন কুলীন পদবীও নেই, অথবা পূর্ব পদবী ঐতিহ্য পরিত্যাগ করতে ইচ্ছুক এমন অনেক বংশ গোষ্ঠী বা ব্যক্তি বিশেষে বাংলাদেশে সৈয়দ পদবী আরোপিতভাবে ব্যবহার শুরু করেছিলেন। 

শেখ : শেখ আরবি থেকে আগত পদবী। সম্ভ্রান্ত মুসলমানদের সম্মানসূচক বংশ পদবী শেখ।  যিনি সম্মানিত বৃদ্ধ অথবা যিনি গোত্র প্রধান, তাকেই বলা হতো শেখ। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) সরাসরি যাকে বা যাঁদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন, তিনি বা তার বংশ ধরও শেখ নামে অভিষিক্ত হতেন অথবা শেখ পদবী লাভ করতেন।  বাঙালি মুসলমান সমাজে যারা শেখ পদবী ধারণ করেন, তারা এ রকম ধারণা পোষণ করেন না যে, তারা বা তাদের পূর্ব পুরুষরা এসেছিলেন সৌদী আরব থেকে।  বাঙালি সৈয়দ পদবী ধারীদের থেকে শেখ পদবীধারীদের এখানে একটা মৌলিক তাৎপর্যগত পার্থক্য রয়েছে।  শেখ পদবী গ্রহণের নেপথ্যে রয়েছে ঐ পূর্বোক্ত চেতনা।  নবীর হাতে মুসলমান না হলেও বাংলায় ইসলাম ধর্ম আর্বিভাবের সাথে সাথে যারা নতুন ধর্মকে গ্রহণ করে নেন; নও মুসলমান’ হিসেবে প্রাচীন ও মধ্যযুগে তারাই শেখ পদবী ধারণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাদের বংশের উত্তর সূরীরাই শেখ পদবী ব্যবহার করে এসেছেন। এমনিতে অন্য ধর্মের লোকের কাছে মুসলমান মানেই শেখ বা সেক। কেউ কেই শেখ কেউ সেক কিংবা কেউ বা শেখ এর রূপান্তর শাইখও ব্যবহার করে থাকেন।  
মীর : মির বা মীর শব্দটি এসেছে আরবি থেকে।  আরবি শব্দ আমীর’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে মীর।  সেই অর্থে মীর অর্থ দলপতি বা নেতা, প্রধান ব্যক্তি, সরদার ইত্যাদি।  জিতে নেয়া বা জয়ী হওয়া অর্থে মীর শব্দের ব্যবহার হতো।  তবে মীর বংশীয় লোককে সম্ভ্রান্ত এবং সৈয়দ বংশীয় পদবীধারীর একটি শাখা বলে গাবেষকরা মনে করেন। 

মিঞা : মিঞা মুসলিম উচ্চ পদস্থ সামাজিক ব্যক্তিকে সম্বোধন করার জন্য ব্যবহৃত সম্ভ্রম সূচক শব্দ।  এক অর্থে সকল মুসলমানের পদবীই হচ্ছে মিঞা। বাঙালি হিন্দুর মহাশয়’ এর পরিবর্তে বাঙালি মুসলমান মিয়া শব্দ ব্যবহার করে থাকে।  মিঞা’ শব্দটি এসেছে ফারসি ভাষা থেকে।  প্রভু বা প্রধান ব্যক্তি বুঝাতেও মিয়া শব্দের প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।  তবে গ্রামীন প্রধান বা সর্দার অর্থের মিঞা পদবী হিসেবে বাঙালি মুসলমান সমাজে ঠাঁই পেয়েছে। 

মোল্লা : মোল্লা এবং মুন্সী বাঙালির দুটো জনপ্রিয় পদবী।  তাদের প্রসার প্রায় দেশব্যাপী।  বঙ্গীয় শব্দকোষ এ মোল্লা শব্দের অর্থ করা হয়েছে মুসলমান পুরোহিত। বস্তুত এভাবে মসজিদে নামাজ পরিচালনার কারনেও অনেকে মোল্লা উপাধি পেয়েছিল।  প্রকৃত পক্ষে, মোল্লা হচ্ছে তুর্কি ও আরবি ভাষার মোল্লা থেকে আগত একটি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পরিপূর্ণ জ্ঞান বিশিষ্ট মহাপন্ডিত ব্যক্তি।  অন্য অর্থে মুসলিম পন্ডিত বা ব্যবস্থাপক বা অধ্যাপক হলেন মোল্লা। পরবর্তী কালে মসজিদে নামাজ পরিচারলনাকারী মাত্রই মোল্লা নামে অভিহিত হতে থাকে।  এখান থেকেই সাধারণত বংশ পদবী হিসেবে তা ব্যবস্থার হওয়া শুরু হয়।  তাঁরা সকল জ্ঞানের জ্ঞানী না হওয়া সত্ত্বেও মোল্লা পদবী ধারণ করে।  যার ফলে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত’ প্রবাদের উৎপত্তি হয়েছে।  

দাস : বাঙালি হিন্দু সমাজে দাস বা দাশ বংশ পদবীর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। যে সমস্ত হিন্দু সম্পদায়ের মানুষ পদবীতে দাশ লিখেন তাদের পেশা ধীবর থেকে এসেছে বলে গবেষকরা মনে করেন।  আর যারা দাস লেখেন তাদের পদবী স্রষ্টার ভূত্য চেতনা থেকে এসেছেন। 

খন্দকার : মুসলিম সমাজের ফারসি শিক্ষক হিসেবে খোন্দকার বা খন্দকারের পরিচয় পাওয়া যায় ।  অন্য দিকে খোন্দকারের ‘ পদবী এসেছে সামন্ত সমাজ থেকে পেশাজীবী হিসেবে।  সাধারণ ভাবে খোন্দকার বা খন্দকার অর্থ হচ্ছে কৃষক বা চাষাবাদকারী ।  মনে করা হয় ফারসি কনদহ ‘ এর যার অর্থ কৃষি’সাথেকার যুক্ত হয়ে কনদহকার> খনদহকার>খন্দকার হয়েছে।  ভিন্ন মতে, খন্দকারের মূল উৎপত্তি সংস্কৃত কন্দ> খন্দ যার অর্থ ফসল বলা হয়েছে।  এই খন্দ এর সাথে কার যুক্ত হয়েও খন্দকার> খোন্দকার হতে পারে।  এবং এতেও পূর্বের খন্দকার’ শব্দের উৎসের অর্থের তারতম্য ঘটছে না।  আবার ফারসি ভাষায়, খোন্দকার বলে একটি শব্দ আছে যার অর্থ শিক্ষক।  সেখান থেকেও খোন্দকার পদবী আসা বিচিত্র কিছু নয়।  অথবা খোন্দকার শব্দের যে ভিন্নভিন্ন অর্থ তার সবগুলো মিলিত তাৎপর্য থেকেই বিভিন্নভাবে খন্দকার পদবীর উৎপত্তি হয়েছে।  

আখন্দ : খন্দকার ও আখন্দ বা আকন সমার্থক।  আখন্দ ও আকন নামে যে সব পদবী তাও সম্ভবত খন্দকার পদবীরই রূপভেদ।  খন্দকার>আখন্দ> আকন হয়ে থাকতে পারে।  আবার ফারসি আখুন্দ থেকেও আখন্দ এসে থাকতে পারে।  যার অর্থ শিক্ষক।  তবে আকন্দ এসেছে আখন্দ থেকেই। 

চৌধুরী : সংস্কৃত চতুধারী শব্দ থেকে এসেছে বাংলা চৌধুরী শব্দ।  এর অর্থ চর্তুসীমানার অন্তগর্ত অঞ্চলের শাসক।  বাংলাদেশের বেশির ভাগ জমিদারদের পদবী হচ্ছে চৌধুরী।  আবার অনেকে মনে করেন চৌথহারী’ যার অর্থ এক চতুথাংশ রাজস্ব আদায়কারী, সেখান থেকে উচ্চারণ পরিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে চৌধুরী’।  সেদিক থেকে চৌথ আদায়কারী বা রাজস্ব আদায়কারী পদ সৃষ্টি হয়েছিল বাংলার রাষ্ট্র ব্যবস্থার।  বঙ্গীয় শব্দকোষ বলছে, চতুর’ যার অর্থ তাকিয়া বা মসনদ, তার সাথে যুক্ত হয়েছে ধর’ (অর্থ ধারক) এবং এই দুয়ে মিলে হয়েছে চৌধরী’ আর তার থেকেই চৌধুরী’।  তবে তা মূলত হিন্দী ও মারাঠি শব্দ।  জাতি ধর্ম নির্বিশেষে চৌধুরী বংশ পদবী ব্যবহার করা হয় এদেশে।  বৃটিশ-ভারতের প্রায় সর্বত্র এ পদবীর অস্তিত্ব ছিল।  কারণ চৌধুরী ছিল সামন্ত রাজার পদবী।  

ভূঁইয়া : এই বংশ পদবীটি এসেছে খোদ ভূমির মালিকানা অর্থ থেকে।  বাঙালি হিন্দু-মুসলিম উভয় এর মধ্যে এ পদবীর প্রচলন আছে।  বাঙালি হিন্দু সমাজে যাঁরাই ভৌমিক’ বাঙালি মুসলমান সমাজে তারা ভূঁইয়া’ হিসেবে পদবী ধারণ করেছেন।  মূল সংস্কৃত শব্দ ভৌমিক > (প্রাকৃত) ভূমিকা > (বাংলা) ভূঁইয়া > থেকে ভূঁইয়া বা ভূঁঞা এসেছে।  প্রাচীন বড় জমিদার বা সামন্ত রাজার উপাধিও ছিল ভূঁইয়া। প্ রকৃত পক্ষে কুলীন বংশ পদবীই ছিল তা।  আবার যে সব মানুষ আগে স্থান বিশেষে বনজঙ্গল পরিষ্কার করে বসতি ও চাষাবাদের পত্তন করেছে তারা স্থানীয় জমিদার রাজার কাছ থেকে ভূঁইয়া নামে অভিহিত হয়ে ঐসব জমি জমার স্বত্ব লাভ করেছে।  

মজুমদার : মজুমদার’ পদবী মূল আসলে মজুনদার’।  এর মূল ফারসি শব্দ হচ্ছে মজমু আনদার’।  রাষ্ট্রের ও জমিদারির দলিল পত্রাদির রক্ষক রাজকর্মচারীর জন্যে এই পদবী সংরক্ষিত ছিল।  হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সমগ্র বাংলাদেশে মজুমদার’ পদবীর ব্যবহার লক্ষনীয়। 

তরফদার : আরবি তরফ’ এবং ফারসি দার’ মিলে তরফদার শব্দের সৃষ্টি। রাজ্যের খাজনা আদায়ের মহালে তদারককারী বা খাজনা আদায়কারীর উপাধী ছিল তরফদার।  এই পদবী ব্যবহারকারী গোষ্ঠীর পূর্ব পুরুষরা রাজকার্য পরিচালনার কাজে নিয়োজিত ছিলেন, সেখান থেকেই এই বংশ পদবী উৎপত্তি ও প্রচলন।  অন্যমতে তরফদার তরফের রাজস্ব আদায়কারী লোক; তরফের মালিক; পদবী বিশেষ।  

তালুকদার : আমাদের দেশে পরিচিত একটি বংশ পদবী।  বাংলাদেশে জমিদারির পরই তালুক ভূ-সম্পত্তির একটি বিভাগ।  মোগল ও বৃটিশ আমলে রাজস্ব ও ভুমি সংক্রান্ত বিষয়াদি থেকে যে সমস্ত পদবীর উৎপত্তি ও বিস্তার তার মধ্যে তালুকদার’ হচ্ছে অন্যতম পদবী।  তালুক’ শব্দ থেকেও এই পদবীর মর্মাথ উপলব্ধি করা সম্ভব।  আরবি শব্দ তা’ আল্লুক’ যার অর্থ ভূ-সম্পত্তি এবং এর সাথে ফারসি দার’ যুক্ত হয়ে (তা’আল্লুক+দার) তালুকদার’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে, যিনি তালুকদার, তিনি জমি ও ক্ষুদ্র ভূ-সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিতেন সরকারের কাছ থেকেও যেমন, তেমনি জমিদারের কাছে থেকেও।  ফলে তিনি হতেন উপজমিদার সেই অর্থেই এসেছে তালুকদার’। 

সরকার : সরকার’ শব্দটি ফারসি থেকে আগত। এর অর্থ প্রভূ, মালিক, ভূস্বামী, শাসনকর্তা, রাজা।  অর্থ আদায় ও ব্যয় সংক্রান্ত কর্মচারি ও সরকার।  মোগল আমলে এদেশের স্থানীয় রাজকর্মচারিদের এ পদবী দেয়া হতো।  মোট কথা প্রধান কর্মচারি এবং সম্পত্তি দেখাশুনার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিকে সরকার বলা হতো। বাঙালি হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই এ পদবীর ব্যবহার আছে। 

মল্লিক : আরবি মালিক’ বা মলিক’ শব্দ থেকে এসেছে মল্লিক’ বংশ পদবী। ফারসি মালিক শব্দজাত মল্লিক ভূম্যাধিকারী বা জোতদারের উপাধি।  গ্রাম প্রধান বা সমাজের প্রধান ব্যক্তি মালিক।  আবার লিপিকুশল রাজকর্মচারিকে মোগল আমলে মল্লিক বা সুলেখক আখ্যা দেয়া হত বলেও আমরা জানতে পারি। হয়তোবা সেই থেকে মল্লিক বংশ পদবী এসেছে। 

মন্ডল : বাঙালি হিন্দু-মুসলিম সমাজে সমান ভাবে ব্যবহৃত হয় মন্ডল পদবী। বাংলাদেশে অতীত কাল থেকে গ্রামের অনানুষ্ঠানিক এবং সাধারণ ভাবে গ্রাম- প্রধানকে বলা হয় মন্ডল।  বাংলা মন্ডলরা আগে অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। মন্ডলীয় কাজ করে তারা অনেক অধিকার ভোগ করতেন।  খাজনা আদায়কারী ও রায়তদের মধ্যস্থতা করা কিংবা গ্রামীন বিবাদ আপোস মীমাংসা করতে মন্ডলরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতেন।  কোন কোন সময় তাদের অধীনে পাটোয়ারি, তহসিলদার, চৌকিদার ইত্যাদি কর্মচারী কাজ করতেন।  সরকার ও রায়তদের মধ্যবর্তী মানুুষ হিসেবে মন্ডলরা অধিক পরিচিত ছিল। 

ফকির : মুসলমানদের মধ্যে সন্ন্যাসবৃত্তি’ থেকেই এসেছে ফকির’ পদবী।  মরমী সাধকরা গ্রহণ করতেন ফকির’ পদবী।  এটি আরবি শব্দ, যার মূল অর্থ নি:স্ব। আবার আরবি ফকর শব্দের অর্থ দারিদ্র।  এ থেকে ফকির শব্দের উৎপত্তি।  ফকির এবং পার্শি দরবেশ ব্যক্তিগণ সাধারণত এদেশে ফকির নামে পরিচিত।  বিশেষ কোন ধর্ম মতের একান্ত অনুসারী না হয়ে যারা সকল ধর্মের মূলনীতি নিয়ে আত্মতত্ত্বের সন্ধান করেন তাদেরকেও ফকির বলা হয়।  আবার সুফি বা বাউল তত্বের ধারকরাও ফকির। 

ঠাকুর : বাংলা শব্দের বিশেষজ্ঞ হরিচরণ বন্দ্যোপধ্যায়ের মতে- ঠাকুর শব্দের মূল হচ্ছে (সংস্কৃত) ঠাক্কুর’ তার থেকে > (প্রকৃত) ঠকুর > (বাংলা) ঠাকুর এসেছে। পদবীগত দিক থেকে তা ব্রাক্ষণের পদবী বিশেষ, এমনকি ক্ষত্রিয়েরও উপাধি এটি।  মধ্য যুগের কাব্য চৈতন্য ভাগবত’ উদ্ধৃত করে লেখক বলেছেন, তা বৈঞ্চবেরও উপাধি।  যেমন, হরিদাস ঠাকুর। পাচক ব্রাক্ষণও এক প্রকার ঠাকুর বলে পরিচিত।  তবে আহমদ শরীফ সম্পাদিত সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’ বলছে, সংস্কৃত ঠক্কুর থেকে ঠাকুর আসলেও এর মূলে ছিল তুর্কী শব্দ।  বাঙালি হিন্দু-মুসলমান উভয়েই এই পদবী ব্যবহার করে।  এরকম শতাধিক বংশ পদবী রয়েছে আমাদের দেশে।  বাঙালির পদবীর ইতিহাস বৈচিত্র পথ ও মতের এক অসাধারণ স্মারক হিসেবে চিহিৃত।  -তথ্য সুত্র

এক মাস বয়সী শিশুর বিকাশ এবং বাবা-মার করণীয়

এক মাস বয়সী শিশুর বিকাশ এবং বাবা-মার করণীয়


শিশু জন্মের পর অন্তত এক দুই মাস বাবা মায়ের বিক্ষিপ্ত অবস্থায় সময় কাটে। বারবার কাঁথা পাল্টানো, ডায়াপার পাল্টানো, অসুখ লেগে থাকা, রাতের ঘুম বলতে জীবনে কিছু না থাকা- সব মিলিয়ে একেবারে পারফেক্ট হ য ব র ল অবস্থা যাকে বলে! এর মধ্যে বাচ্চার ডেভেলপমেন্টাল টাস্ক বা স্টিমুলেশনের বিষয়গুলো মাথায় রাখা খুবই কঠিন কাজ। তবুও পরে পস্তাতে না চাইলে প্রথম থেকেই সবকিছুর সাথে তাল মিলিয়ে চলাটাই ভালো। শিশুর বিকাশ প্রথম এক মাসে কেমন হয়? এখানে সপ্তাহ অনুযায়ী দেয়া হলো।
একটি শিশুর বেড়ে ওঠার সময়ে তার যে বিকাশ হয় সেটাকে অল্প শব্দে বাঁধাই করা মুশকিল। প্রতিটি দিন তার বয়স এক দিন করে বাড়ে, সেই সাথে তার Motor, Emotional, Social, Cognitive, Moral & Conscience, Self Concept, Language, Speech development সহ নানাবিধ বিকাশ চলতে থাকে। প্রত্যেকটি বিকাশেরই বিভিন্ন স্তর আছে, ডেভেলপমেন্টাল টাস্ক আছে।
এই লেখাতে কোন স্পেসিফিক ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আলোচনায় যাবো না, ওভারঅল বিকাশের সাধারণ পথ ধরে শিশু তার প্রথম বছরে, বায়ান্নটি সপ্তাহে কিভাবে বড় হয় তা দেখবো-
সপ্তাহ ০১
জন্মের এক সপ্তাহেই নবজাতক শিশু তার মায়ের উপর ভরসা করতে শুরু করে। সে মায়ের কন্ঠস্বর চিনতে পারে। এটিই এই অচেনা পৃথিবীতে তার প্রথম অভিযোজন প্রক্রিয়া। তাই যত বেশি পারা যায়, শিশুর সাথে কথা বলুন। সে আপনার কথা বুঝতে পারবে না, কিন্তু ভালোবাসার-স্নেহের উষ্ণতা অনুভব করতে পারবে।
আরো পড়তে পারেন-
সপ্তাহ ০২-
এই সপ্তাহে আপনার শিশু আট থেকে চৌদ্দ ইঞ্চি পর্যন্ত দূরের বস্তু দেখতে পারে। ব্রেস্টফিড করানোর সময় নিজের মাথা এক পাশ থেকে অন্য পাশে নাড়ান। অথবা বাবুর চোখের সামনে আঙ্গুলও নাড়াতে পারেন। খেয়াল করুন সে দেখার চেষ্টা করছে কি না। এটি শিশুর আই মাসল ও ট্র্যাকিং স্কিল বাড়াতে সাহায্য করে।
সপ্তাহ ০৩-
যদিও শিশুর মুভমেন্ট এখনও অনিয়ন্ত্রিত, তবুও খেয়াল করবেন সে এখন আরামদায়কভাবে শুতে চাইছে। সে এখন তার মায়ের ঘ্রাণ বুঝতে পারে, মায়ের কাছে শান্তি ও স্বস্তি অনুভব করে। শিশু ও প্যারেন্টের ‘এ্যাটাচমেন্ট’ এর প্রথম পর্যায় শুরু হয় এই সপ্তাহে।
সপ্তাহ ০৪-
‎লক্ষ্য করেছেন, কান্না ছাড়াও আপনার শিশু এখন তার ভোকাল কর্ডকে অন্যভাবে ব্যবহার করছে? সে এই সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন শব্দ করার চেষ্টা করবে, বিশেষ করে মা কিংবা বাবাকে দেখলে ‘আহ’ বা অন্য কিছু বলার চেষ্টা করবে। শিশু অন্যদের দেখে শিখে, তাই সে এধরণের শব্দ করলে অবশ্যই তাকে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে সে যে শুধু খুশি হবে তা নয়, সে বুঝতে পারবে ভয়েস তার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। কারণ সে ডাকলে আপনি তাতে সাড়া দেন।
ফুটনোট:-*প্রতিটি শিশুই ইউনিক। তাই সবার বিকাশ একই রকমভাবে হবে না। কেয়ারগিভার হিসেবে আপনার যা যা করা উচিত তা করুন। অনেক সময় সঠিক স্টিমুলেশনের অভাবে শিশুর বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। শিশুর কোনরকম শারীরিক সমস্যা মনে করলে পেডিয়াট্রিকস বা অকুপেশনাল থেরাপিস্টের সাহায্য নিন।
বাচ্চাদের অ্যালার্জি প্রতিরোধের সহজ কিছু প্যারেন্টিং টিপস

বাচ্চাদের অ্যালার্জি প্রতিরোধের সহজ কিছু প্যারেন্টিং টিপস



বজাতকের ত্বক স্পর্শকাতর হওয়ায় তাদের ত্বকে অনেক সহজেই বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হতে পারে। বাচ্চাদের অ্যালার্জি তাদের জন্য বেশ যন্ত্রণাদায়ক। অ্যালার্জির ফলে বাচ্চাদেরকে গায়ে ফোঁসকা পড়া, ত্বক জ্বালাপোড়া করা ইত্যাদি সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এজন্য বাচ্চাদের অ্যালার্জি হলে তা দ্রুত নিরাময় করার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেয়ার মাধ্যমে বাচ্চাদের অ্যালার্জি প্রতিরোধ সম্ভব। আমরা আজকে বাচ্চাদের সাধারণ কিছু অ্যালার্জি, লক্ষণ, প্রতিরোধ সম্পর্কে জানব। এবং বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন সম্পর্কে জানব।

১। একজিমা
৪-৬ মাস বয়সী বাচ্চাদের মাঝে একজিমা হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায় বেশি। সাধারণত একজিমা শরীরের যেকোন স্থানে হতে পারে। বিশেষ করে গালে, কনুইতে, হাতের আঙ্গুলের মাঝে বেশি দেখা যায়। অতিরিক্ত ডায়াপার নির্ভর হওয়ার কারণে শিশুর  কুঁচকিতেও একজিমা দেখা যায়। একজিমা হলে কখনও কখনও ত্বক ফেটে যাওয়ার মতো দেখায়।


কারণ
জেনেটিক কারণে অনেক সময় একজিমা হয়ে থাকে। পরিবারের কারো আগে থেকে একজিমা, আমবাত ও  অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে নবজাতকও একজিমা দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। শিশুকে স্তন প্রদানকারী মা যদি  অ্যালার্জির উপাদান সমৃদ্ধ খাবার (যেমন-চিংড়ি মাছ, চীনাবাদাম, আনারস ইত্যাদি) খান তাহলে শিশুর একজিমা হতে পারে। তাছাড়া আঁটসাঁট জামা কাপড় পরানো, শিশু ঘেমে গেলে তা দ্রুত না মোছা, অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়াও শিশুর একজিমার জন্য দায়ী।


লক্ষণ
শরীরের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে হাতের আঙুল, কুঁচকি, কনুই, গাল ইত্যাদিতে ছোট ছোট লাল ফোসকা বা র‍্যাশ দেখা যায়। এইসব ফোসকার মধ্যে হলুদাভ তরল থাকে। একটু চাপে সে তরল বের হয়ে পড়ে ও মাঝে মাঝে জ্বালাপোড়া করে।


প্রতিরোধ
শিশুকে সবসময় পরিষ্কার ও ঢিলেঢালা কাপড় পড়াতে হবে। শিশুকে সবসময় পরিচ্ছন্ন ও শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে। ঘেমে গেলে বা অন্যকোনভাবে ভিজে গেলে যদি অনেকক্ষণ ধরে তা মোছা না হয় তাহলে ত্বকে ঘামাছি থেকে ধীরে ধীরে একজিমা হতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়ায় শিশুর ত্বকে ময়েশ্চেরাইজার ব্যবহার করলেও একজিমা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ডায়াপারের ব্যবহার কমালেও একজিমা প্রতিরোধ করা যায়।


২।  বাগ বাইট বা পোকার কামড়
বাগ বাইট সাধারণত মশা, ছাড়পোকার মতো কিছু পোকামাকড়ের কামড়ের কারণে হয়ে থাকে। মুখে, হাতে ও ঘাড়ে বাগ বাইট দেখা যায়। বাগ বাইট পরবর্তীতে আমবাতে রূপান্তরিত হতে পারে।

কারণ
এটা সাধারণ পোকার কামড়েই হয়ে থাকে। মশা, ছাড়পোকা, শুঁয়োপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদির কামড়ের ফলে শিশুদের ত্বকে এই সমস্যা দেখা যায়।

লক্ষণ
পোকা কামড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যে কামড়ের স্থানে ছোট পাঁচড়ার মতো হয়। এরপর ধীরে ধীরে একটু বড় হয়ে বাদামি রং ধারণ করে। পোকায় কামড়ের ফলে হওয়া এইসব র‍্যাশ বেশ বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে।

প্রতিরোধ
এটা খুবই সাধারণ ধরণের অ্যালার্জি। সাধারণত বেশি গুরুতর হলে ডাক্তাররা এক ধরণের ক্রিম দিয়ে থাকে যা ব্যবহার করলে বাগ বাইট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। প্রতিরোধের জন্য বাসায় মশারী ব্যবহার করতে হবে ও বাসা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেন বাসায় পোকা জন্ম নিতে না পারে।


৩।  হিট র‍্যাশ বা ঘামাচি কারণ
সাধারণত অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া ও শিশুদের ঘেমে যাওয়া হিট র‍্যাশের জন্য দায়ী। শিশুদের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম থাকার কারণে অতিরিক্ত গরমে ঘামাচি হতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত ডায়াপার নির্ভরতা, আঁটসাঁট কাপড় পরিধানের কারণেও শিশুরা হিট র‍্যাশে আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণ
সংখ্যায় অনেক কিন্তু ক্ষুদ্র র‍্যাশ দেখা যায় সারা শরীরে। শরীরের আবৃত স্থানগুলোতে অনেক বেশি র‍্যাশ দেখা যায়।

প্রতিরোধ
শিশুকে শুকনো ও ঠান্ডা রাখা, ঘেমে গেলে তাড়াতাড়ি শরীর মুছে দেয়া, আরামদায়ক পোশাক পরানোর মাধ্যমে হিট র‍্যাশ এড়ানো যায়। অনেকে ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ঘামাচি পাউডার ব্যবহারে শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয় বিধায় পাউডার ব্যবহার কম করাই উত্তম।

৪।  দাদ
আমরা সবাই মোটামুটি দাদ-এর সাথে পরিচিত ।দাদ একধরণের ফাংগাল ইনফেকশন। এটা মাথার খুলি, পা ও মানব দেহের গোপন স্থানে হয়ে থাকে।

কারণ
সাধারণত ঘাম ও ভেঁজা কিছুর সংস্পর্শে অনেকক্ষণ ধরে থাকার ফলে শিশু দাদে আক্রান্ত হতে পারে। দাদ ছোঁয়াচেও বটে। পরিবারে কারো দাদ থাকলে সে লোকের দাদের সংস্পর্শে, তার ব্যবহার করা জামা কাপড়, গামছা বা তোয়ালের মাধ্যমেও শিশু দাদ-এ আক্রান্ত হতে পারে।

প্রতিকার
এন্টি ফাংগাল ক্রিম ব্যবহারে দাদ দূর করা সম্ভব। আক্রান্ত স্থান ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে তারপর ক্রিম লাগাতে হবে। বেশিক্ষণ ভেজা কাপড়ে শিশুকে রাখা যাবে না।

বাচ্চাদের অ্যালার্জি  প্রতিরোধে ত্বকের যত্ন
 
বাচ্চাদের অ্যালার্জি জনিত সব রোগই ত্বকের অযত্নের কারণে হয়ে থাকে। বাচ্চাদের অ্যালার্জি জাতীয় রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য ত্বকের সঠিক পরিচর্যার যথেষ্ট।
• শিশুকে প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল না করানোই উত্তম। সাবানের ক্ষার শিশুর ত্বকে প্রাকৃতিক তেলের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে ত্বকে সমস্যা হতে পারে। আর সেই সমস্যা থেকে হতে পারে অ্যালার্জি।
• শিশুর ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য শিশুকে গোসল করানোর পর তার শরীরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক শুষ্ক থাকবে।
• পোকামাকড়ের কামড় থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। নিয়মিত মশারী ব্যবহার করতে হবে, বাসা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য শিশুর রুম নিয়মিত বিরতিতে পরিষ্কার পরিষ্কার করতে হবে।
• ত্বকে অ্যালার্জির অন্যতম কারণ শিশুর অতিরিক্ত ঘাম হওয়া। শিশুর শরীরে ঘাম হওয়া এড়াতে তাকে আঁটসাঁট কাপড় না পরিয়ে সুঁতি ও আরামদায়ক কাপড় পড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
•  অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভবনা থাকে এমন কোন খাবার শিশুকে খাওয়ানো যাবে না ও দুধ খাওয়ানো অবস্থায় মাকে এইসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
• শিশুর রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খুব বেশি গরম কিংবা খুব বেশি ঠান্ডা রাখা যাবে না।
• শিশুর নখ ছোট রাখতে হবে ও ধারালো রাখা যাবে না। নখের আঁচড়েও অনেক সময় ত্বকে ইনফেকশন হতে পারে।

বাচ্চাদের অ্যালার্জি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ত্বকের যত্ন নেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ত্বকের সঠিক যত্ন নেয়ার মাধ্যমে বাচ্চাদের অ্যলার্জি প্রতিরোধ করা যায়।
গর্ভবতী স্ত্রীর যত্ন নিন

গর্ভবতী স্ত্রীর যত্ন নিন


পনার স্ত্রী যখন গর্ভবতী হন তখন কী কেবল তিনি একাই গর্ভবতী হন? না একই সাথে গর্ভবতী হোন আপনিও? হ্যাঁ আপনার স্ত্রী একা গর্ভবতী হন না বরং গর্ভবতী হন আপনারা। আপনার স্ত্রীর গর্ভে বেড়ে উঠা আপনাদের পরবর্তী প্রজন্মকে, আপনাদেরকে রককে নিরাপদে পৃথিবীতে এনে তাকে অবাক করে দিতে ও আপনাদের অবাক হয়ে যেতে এবং একই সাথে আপনার স্ত্রীকে নিরাপদ রাখতে, তার ভরসার জায়গা হতে অনেক বেশি দায়িত্ব থাকে আপনার। আজকের ব্লগটা আপনার স্ত্রীর জন্য না, আপনার অনাগত সন্তানের জন্যও না, আজকের ব্লগটা আপনার জন্য। গর্ভবতী স্ত্রীর যত্ন নিয়ে আপনার দায়িত্ব সম্পর্কেই আজকের ব্লগ। পড়ুন, জানুন ও গর্ভবতী স্ত্রীর যত্ন নিন।

নিজের জানার পরিসর বাড়ান
গর্ভধারণের এই সময়টাতে আপনাকে সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকতে হবে। এই সময়টা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে ও ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। এই সময়ে গর্ভবতী স্ত্রীর যত্ন, তার খাদ্যাভাস, পোশাক পরিচ্ছদ, গর্ভধারণের সময়টার প্রতি ধাপে স্ত্রীর কেমন যত্ন দরকার এমন সব কিছু সম্পর্কে জানতে হবে। সেজন্য এই সম্পর্কিত বই সংগ্রহ করে জেনে নিন অথনা ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে নিজেকে আপডেট রাখুন।


মর্নিং সিকনেসে স্ত্রীর পাশে থাকুন
গর্ভাবস্থায় প্রথম ৬-১৪ সপ্তাহ গর্ভবতী নারীর সকাল বেলায় বা কখনো কখনো অন্যান্য সময়ে যে বমি বমি ভাব হয় সেটাই মর্নিং সিকনেস। এই সময়ে স্ত্রীর খেয়াল রাখুন, তার পাশে থাকুন। এই বমি বমি ভাবটা সবারই হয়ে থাকে। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে না রেখে তাকে কিছু খাওয়ান ও খাওয়ার পর তাকে সাথে করে একটু হাটাহাটি করুন। এতে বমি বমি ভাবটা কিছুটা হলেও কমবে। আপনি এই সময়টাতে স্ত্রীর পাশে বসে তার মাথায় হাত রাখতে পারেন, মাথায় একটু পানি দিতে পারেন। এতে সে ভরসা পাবে ও মানসিকভাবে কিছুটা সাহস পাবে ও ফুরফুরে থাকবে।


তার অনুভূতি বুঝুন ও উৎসাহ দিন
গর্ভধারণের সময়টাতে স্ত্রী অনেক হ্যাপি ও এক্সাইটেড যেমন থাকে তেমনি ধীরে ধীরে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়। ঘনঘন মুড চেঞ্জ হওয়া, ব্যথা, মানসিক অবসাদ, ভয়, চিন্তা, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। এই অনুভূতিটা প্রাকৃতিক, এই অবস্থায় সবারই এমন হয়। এই সময়ে তার সবচেয়ে বেশী দরকার মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকা। সেজন্য তাকে সমর্থন দিন ও তার অনুভূতিগুলো বুঝুন। এই সময়টাতে স্ত্রীকে প্রচুর সময় দিন। তার পাশে থেকে সাহস যোগান। তাকে এই সাহস দিন যে, এই জার্নিতে আপনারা সবাই তার পাশেই আছেন।


নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখুন
এই সময়টাতে আপনার স্ত্রী যেকোন সময় অসুস্থতাবোধ করতে পারে। ফলে আপনার প্ল্যান হুটহাট পরিবর্তন করতে হতে পারে। আর আপনি যদি ওয়ার্কিং হাজবেন্ড হন, তাহলে সেটা আপনার জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু তারপরও এই সময়টাতে স্ত্রীকেই বেশীই গুরুত্ব দিতে হবে, কোনভাবেই তার প্রয়োজনীয়তা এড়া্নো যাবে না। প্রয়োজনে আগে থেকেই আপনার কর্মস্থলে এই সময়টার সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে রাখুন।

মাঝে মাঝে স্ত্রীর জন্য রান্না করুন
সবসময় স্ত্রীকে রান্নায়তো সাহায্য করবেনই আবার মাঝে মাঝে তাকে রান্না ঘর থেকে ছুটি দিয়ে আপনি তার জন্য স্পেশাল কিছু রান্না করুন অথবা তার পছন্দের কোন খাবার রান্না করে তাকে পরিবেশন করুন। এতে সে অনেক খুশী হবে ও তার মধ্যে বিশেষ একটা ভালো লাগা কাজ করবে। যা তাকে মানসিক ও শারীরিক দু-ভাবেই অনেক বেশী চাঙ্গা রাখবে। নিজে রান্না না পারলে তাকে রান্নায় সাহায্য করুন অথবা বাইরে থেকে তার জন্য স্বাস্থ্যকর ও তার প্রিয় কোন খাবার নিয়ে আসুন।


স্ত্রীর সঙ্গে ডাক্তা্রের কাছে যান
এই সময়টাতে নিয়মিত ডাক্তারও ও চেকআপ তো করবেনই, সাথে চেষ্টা করবেন আপনি নিজে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে। তার সাথে বসে ডাক্তারের সব কথা শুনবেন ও পরামর্শ শুনবেন। পরামর্শ অনুযায়ী স্ত্রীকে সাহায্য করবেন। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় সম্পর্কে নিজেকে আপডেট রাখুন। এতে আপনার স্ত্রী সাহস পাবে ও নিজেকে একা ভাববে না।


ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত থাকুন
সেই বিশেষ দিনটার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। সকল চিন্তা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সমস্যা আপনি মোকাবেলা করুন। তা যেন আপনার স্ত্রীর উপর কোন প্রভাব না ফেলে। আগে থেকে রক্তের জন্য পরিচিত ডোনার ঠিক করে রাখুন, আর্থিক ব্যাকআপ আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। কারণ ওই সময়টা বেশ দ্রুত যাবে, তখন সাথে সাথে এইসব প্রস্তুত করতে পারবেন না। সেজন্য ডেলিভারি ডেটের অন্তত একমাস আগে সব ধরণের প্রস্তুতি সেরে রাখুন।


তার সাথে পরিকল্পনা করুন
স্ত্রী গর্ভবতী এটা জানার পর থেকে নিজের ভেতর একটা বাবা স্বত্বা জন্ম নেয়। একই ভাবে আপনার স্ত্রীর মাঝেও জন্ম নেয় একটা মা স্বত্বা। এই সময়টাতে স্ত্রীকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে দুজনে মিলে কিছু প্ল্যান করুন। বাচ্চার নাম ঠিক করতে পারেন, জন্মের পর প্রথম জামার রঙ কি হবে তা নিয়ে খুনসুটি করতে পারেন। এমন ছোট ছোট পরিকল্পনা ও কিছু খুনসুটি আপনার স্ত্রীকে এই জটিল জার্নিটা সম্পন্ন করতে মানসিকভাবে সাহায্য করবে।

গর্ভধারণের ১০ মাস একজন নারীর জন্য খুবই নাজুক ও কঠিন একটা সময়। একজন স্বামী হিসেবে এই জার্নিটা আপনারও। এই সময়টার মানসিক জটিলতার কারণে অনেক সময় গর্ভধারিণী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। এজন্য গর্ভবতী স্ত্রীর যত্ন নিতে হবে। এই জার্নিতে স্ত্রীর সহযাত্রী হতে হবে আপনাকেও।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য যে সকল দিকে  খেয়াল রাখা জরুরি

শরীর সুস্থ রাখার জন্য যে সকল দিকে খেয়াল রাখা জরুরি

শরীর সুস্থ রাখার জন্য যে সকল দিকে  খেয়াল রাখা জরুরি.....


পনার উচ্চতা কত? ধরুন ৬ ফুট। আচ্ছা এই ৬ ফুট শরীরটার সম্পর্কে কোনও জ্ঞান আছে আপনার? নেই তো! আরে না না ভাববেন না আপনি এক, এই লাইনে আরও অনেকে দাঁড়িয়ে। সমীক্ষা বলছে প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ মানুষই নিজের শরীর সম্পর্কে সামান্যটুকু খোঁজ খবরও রাখেন না। এই যেমন ধরুন ক্ষিদে পায় বলে আমরা সবাই খেয়ে থাকি। কিন্তু কেমন খাবার শরীরে জন্য ভাল সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি কি?
প্রতিদিন আমাদের শরীরকে সচল রাখতে বেশ কিছু উপাদানের প্রয়োজন পরে। ঠিক যেমন গাড়ি চালাতে গলে পেট্রলের প্রয়োজন পরে। এই উপাদানগুলি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে খাবারের মাধ্যমে। তাই তো চোখ বুজে খাওয়া-দাওয়া না করে এই বিষয়ে একটু সচেতন হন। এমনটা করলে উপকার মিলবে দেখবেন। তাই তো জেনে নিন দৈনিক ভিটামিন বি-এর প্রয়োজন কেন পরে আমাদের শরীরের। প্রসঙ্গত, ভিটামিন বি ছাড়াও আরও অনেক খনিজেরও দরকার পরে প্রতিদিন। কিন্তু আজকের এই প্রবন্ধে লাইম লাইট ফেলা হবে কেবল মাত্র এই ভাটিমিনটির উপরই।আমাদের শরীরকে চাঙ্গা রাখতে ভিটামিন বি-এর কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। কারণ সারা দিনে শরীরের অন্দরে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তার চিকিৎসা মূলত এই ভিটামিনটিই করে থাকে। সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব রয়েছে ভিটামিন বি-এর উপর।
তবে তাই বলে ভাববেন না এই কাজগুলি সবই ভাটিমিন বি একা করে থাকে। আসলে ভিটামিন বি হল ৮ টি আলাদা আলাদা ভিটামিনের সমষ্টি। এই আটটি ভিটামিন হল যথাক্রমে বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি৭, বি৯ এবং বি১২। কী কী কাজে আসে এই ভিটামিনগুলি? চলুন খোঁজ লাগানো যাক সে বিষয়ে।

ভিটামিন বি-১

বি১: এই ভিটামিনটিকে থায়ামিন নামেও ডাকা হয়ে থাকে। আমাদের নার্ভাস সিস্টেম যাতে ঠিক মতো কাজ করে সেদিকে খেয়াল রাখে এই ভিটামিনটি। সেই সঙ্গে কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা নেয় বি১। প্রসঙ্গত, ডাল এবং হোল গ্রেন খাবারে এই ভিটামনটি প্রচুর পরিমাণে থাকে।
                                                                 
ভিটামিন বি২
বি২: হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমাতে এবং ব্লাড সেলের সংখ্যা বৃদ্ধিতেও এই ভিটামিনটি সাহায্য করে। তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে চুল এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও এই বি২ বিশেষ কাজে আসে। তাই তো প্রতিদিন বি২ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- বিনস, দুধ, দই এবং ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বি৩: হার্ট অ্যাটাকের কারণে যদি মরতে না চান, তাহলে এই ভিটমিনটির ঘাটতি যাতে কোনও সময় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
 ভিটামিন বি৩
বি৩ শরীরে উপস্থিত বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ভাসকুলার ডিজঅর্ডার এবং শ্বাসকষ্ট জনিত নানাবিধ সমস্যাকে দূর রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে হাড়কে শক্তপোক্ত করতেও সাহায্য করে। সাধারণত সামদ্রিক মাছ, মাংস এবং বাদামে ভিটামিন বি৩-এর সন্ধান পাওয়া যায়।
চুলের যত্ন-চুল পড়া বন্ধ করুন

চুলের যত্ন-চুল পড়া বন্ধ করুন


 
চুল পড়ে যাওয়া সবার কাছেই খুব খারাপ অভিজ্ঞতা। চুল পড়া বন্ধ করতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি।
এমনকি, একের পর এক প্রসাধনীও ফেল করে যায় চুল পড়া বন্ধ করতে। যদিও, একটি বিষয় সব সময় মনে রাখা উচিত যে, যদি প্রতিদিন কারও ৫০-১০০টির মতন বা তার কিছু বেশি চুল ওঠে, তাহলে তা খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে, মুঠো মুঠো চুল পড়ে যেতে শুরু করলে তখন তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ। এই দুশ্চিন্তাকে দূর করতে বাড়িতে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতেই পারে। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, বাড়িতে বসেই কীভাবে চুল পড়া বন্ধ করা যায়।
১. নারকেল
নারকেল তেলের কী কী গুণ আছে, তা তো আমরা সবাই জানি। তবে, অনেকেই আছেন যারা চুল পড়া শুরু হলে চুলে তেল দেওয়া বন্ধ করে দেন, যা একেবারেই উচিত নয়। কারণ নারকেল তেল চুলের সংখ্যায় বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে নারকেল তেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, খনিজ উপাদান এবং প্রোটিন থাকে, যা চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করতে পারে।
নারকেল তেলের পাশাপাশি নারকেলের দুধও চুলে ব্যবহার করা যায়।
পদ্ধতি- কিছুটা নারকেল তেল গরম করতে হবে। তারপর চুলের গোঁড়া থেকে আগা অবধি ভাল করে মালিশ করতে হবে। একঘণ্টা রেখে চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।

২. পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা চুল লম্বা হতে এবং কোলাজেন উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। চুলের গোঁড়ায় পেঁয়াজের রস লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজায়।
পদ্ধতি- একটি পেঁয়াজ টুকরো টুকরো করে কেটে তার ভেতর থেকে রস বের করে নিতে হবে। এবার সেই রস মাথায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে এবং চুল শুকিয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুইবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
৩. রসুন
পেঁয়াজের মতো রসুনেরও উচ্চমাত্রায় সালফার থাকে। এটি ব্যবহার করলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
পদ্ধতি- কয়েকটি রসুন থেঁতো করে নিতে হবে। এবার তার মধ্যে নারকেল তেল ঢেলে কয়েক মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর ঠাণ্ডা করে মাথায় মালিশ করতে হবে। ৩০ মিনিট রেখে তারপর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুবার এটি করলে চুল ভালো থাকবে।

৪. হেনা
অনেকেই চুলে হেনা ব্যবহার করে থাকেন। হেনা মূলত চুলে রঙ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, হেনার আরও বহু গুণ রয়েছে। যেমন, হেনা চুলকে গোঁড়া থেকে শক্ত হতে সাহায্য করে। হেনার সঙ্গে আরও বেশ কিছু উপাদান মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে মাখলে চুল ভাল থাকে।
পদ্ধতি- একটি পাত্রে ২৫০ মিলিলিটার সরষের তেল নিতে হবে। এরমধ্যে ৬০ গ্রাম পরিষ্কার করে শুকিয়ে রাখা হেনা পাতা অথবা মেহেন্দি পাতা দিতে হবে। এবার এটি ফুটাতে হবে এবং তেলটি ছেঁকে নিতে হবে। তারপর এই তেল প্রতিদিন মাথায় মালিশ করতে হবে। এই তেল খুব যত্ন করে হাওয়া রোধক পাত্রে রেখে দিতে হবে।
৫. জবা
জবা ফুল চুলের জন্য দারুণ উপকারি। এটি চুলকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে, চুল সাদা হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এমনকি, খুশকি দূর করে এবং চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করে।
পদ্ধতি- কয়েকটি জবা ফুলের সঙ্গে তিলের তেল এবং নারকেল তেল মিশিয়ে বেঁটে নিতে হবে। এবার চুলের গোঁড়ায় ভাল করে লাগাতে হবে। কয়েক ঘণ্টা চুলে রেখে দিতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
৬. আমলকী
যাদের খুব চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা আছে, তাদের জন্য আমলকী খুবই উপকারি। কারণ, আমলকীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
পদ্ধতি- আমলকীর রস বা আমলকী গুঁড়ো লেবুর রসের সঙ্গে মেশাতে হবে। এবার চুলের গোঁড়ায় লাগাতে হবে এবং শুকিয়ে না যাওয়া অবধি রেখে দিতে হবে। এবার অল্প গরম পানিতে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

৭. ডিম
ডিমের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা আমাদের চুল পড়া বন্ধ করতে পারে। যেমন- সালফার, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, আয়োডাইন, জিঙ্ক এবং প্রোটিন। এই প্রতিটি উপাদানই চুল বৃদ্ধি করতে দারুণভাবে সাহায্য করে।
পদ্ধতি- একটি ডিমের সাদা অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে এক চা চামচ অলিভ অয়েল মেশাতে হবে। এই দুই উপাদান ভাল করে মিশিয়ে একটি পেস্টের মতো বানাতে হবে। এবার চুলের গোঁড়ায় লাগাতে হবে। ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি এবং শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।


আপনাকে ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।
কলা এবং বাদাম তেলের কার্যকারিতা-Banana and Nut Oil Pack

কলা এবং বাদাম তেলের কার্যকারিতা-Banana and Nut Oil Pack


কলা এবং বাদাম তেলের কার্যকারিতাঃ

     
      


   কলা এবং বাদাম তেলের কার্যকারিতাঃ 

চটজলদি যদি ত্বককে ফর্সা করে তুলতে হয়, তাহলে এই ফেস প্যাকটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আসলে এই দুই প্রকৃতিক উপাদানে উপস্থিত ভিটামিন সি, বি৬ এবং আরও সব উপকারি উপাদান ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই ফেস প্যাকটি বানাতে প্রয়োজন পরবে ১ টা কলা এবং ১ চামচ বাদাম তেলের। এই দুটি উপাদান এক সঙ্গে মিশিয়ে বানানো পেস্টটা মুখে লাগিয়ে কম করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন ত্বকের পরিচর্যা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!

কাঁচা মরিচের গুণাবলী

কাঁচা মরিচের গুণাবলী

আপনি জানেন কি কাঁচা মরিচ আপনার শরীরের জন্য কতটা জরুরি?



কাঁচা মরিচের উপকারীতা

১. ওজন কমাতে সাহায্য করে: 
র্তমান যুগে এমন লোক খুব কমই আছেন যারা তাদের ওজন নয়ে চিন্তিত নন!
আজকের যুগের ট্রেন্ডই হল “স্লিম অ্যান্ড ফিট” শরীর। আর তা পেতে কেউ জিম মুখি, তো কেউ হট যোগাসনে ব্যস্ত। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে প্রতিদিন ২-৩ টি করে কাঁচা লঙ্কা খেলেও এক্ষেত্রে দারুন উপকার মিলতে পারে। একেবারেই ঠিক শুনেছেন! একাদিক গবেষণায় দেখা গেছে কাঁচা লঙ্কার অন্দরে ক্যালরি না থাকার কারণে এটি খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে না। সেই সঙ্গে এতে থাকা একাধিক উপকারি ভিটামিন এবং পুষ্টিকর উপাদান হজম ক্ষমতার মারাত্মক উন্নতি ঘটায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার কোনও সুযোগই থাকে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে। তাই এবার থেকে শরীরচর্চার পাশাপাশি কাঁচা লঙ্কা খাওয়ার অভ্যাস করুন। দেখবেন নিমেষে মেদ কমে যাবে।
যখন আপনি মেদ নিয়ে চিন্তিত... !!

২. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:



 হার্টের সমস্যা বর্তমান সমাজে একটি কমন সমস্যা হিসাবে ধরা হয়...

রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে দিয়ে হার্টকে তরতাজা রাখতে লঙ্কার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এখানেই শেষ নয়, এই সবজিটির শরীরে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান ব্লাড ক্লট যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে।


নিয়মিত আপডেট পেতে সংবাদ২৪ বুকমার্ক করে আমাদের সাথে থাকুন.... 

ধন্যবাদ
ত্বকের পরিচর্চায় পেঁপের কার্যকারীতা-Peper_Karjokarita

ত্বকের পরিচর্চায় পেঁপের কার্যকারীতা-Peper_Karjokarita


পেঁপে

পেঁপের মত শাসালো ফলটিকে দেবদূতের ফল হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন স্বয়ং ক্রিস্টোফার কলম্বাস| এতে বেশ একটা মাখনের মত মসৃন অনুভূতি হয়| কমলা রঙের ফল বলে এটি ভিটামিন এ, ক্যারোটিনোড, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে সমৃদ্ধ। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার সৌন্দর্যের বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্বকের জন্য আরেকটি চমৎকার উপাদান হল মধু| এটি একটি ঐন্দ্রজালিক উপাদান যা মানুষের দ্বারা তৈরি করা সম্ভব নয়। লক্ষ লক্ষ ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করার কাজ শুধু মৌমাছিদের পক্ষেই করা সম্ভব|
মধু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এবং এতে আন্টি মাইক্রোবিয়াল ও আন্টি ফাংগাল বৈশিষ্ট্যও আছে। অশোধিত বা জৈব মধুকেই সেরা বলে মানা হয়ে থাকে, যা তাপ দ্বারা শোধিত করা হয়নি| ত্বকে মধু উপকারের বিষয়ে আলোচনা করার আগে, প্রথমে আমরা পেঁপেতে থাকা গুণের দিকে নজর রাখি এবং জেনেনি কেন নিয়মিত ত্বকের যত্নে এই ফলটিকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত |
ত্বকে পেঁপে ব্যবহার করার ৫টি সুবিধার কথা বলা হল :
. ত্বক হাইড্র্যাট করে
একটি শাসালো ফল হওয়ার দরুন পেঁপেতে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা কেবল ত্বককে হাইড্ৰেটই করে না, বরং ত্বকের পিএইচ অনুষঙ্গও নিয়ন্ত্রণ করে। একটি পেঁপের স্প্রে তৈরী করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন, একটু নারকেল তেলের সাহায্যে|

২. বার্ধক্য রোধ করে
পেঁপে একটি দারুন এক্সফলিয়েটর| এতে আলফা-হাইড্রোক্সিল অ্যাসিড রয়েছে যা মৃত চামড়ার কোষগুলিকে দ্রবীভূত করে, ত্বকের দাগ নিরাময় করে এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে| সমান পরিমানে পেঁপে এবং দই মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করুন| শুধু মাত্র এক ভাবেই মালিশ করুন|
৩. ব্রণ হ্রাস
পেঁপেতে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম, পেপেন রয়েছে, যা ব্রণ ও পিম্পলগুলি গলিয়ে দিতে পারে| এটি ব্যাকটেরিয়ার ওপরেও প্রভাব ফেলে এবং ত্বককে জীবাণু মুক্ত করে তোলে| কাঁচা পেঁপের রস ব্যবহার করে একগুঁয়ে ব্রণর হাত থেকে রাতারাতি পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব|
৪. ট্যান দূর করে
গরম দেশে বসবাস মানে আপনার ত্বক একটু ট্যান হতে বাধ্য| সবচেয়ে চোখে লাগে যখন শরীরের কিছুটা জায়গা ট্যান হয়ে যায় অন্য জায়গার তুলনায়| আপনার প্রয়োজন শুধু পেঁপের রস এবং একটু মধু, যা ট্যান দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা বজায় রাখে|
৫. অবাঞ্ছিত লোম অপসারণ
মুখের অবাঞ্ছিত লোম সত্যিই বিব্রতকর হতে পারে| এসবের জন্য প্রতিবার বিউটি পার্লার যাওয়াটাও বিরক্তিকর হয়ে ওঠে| একটি পেঁপে, মধু ও মুলতানি মাটির মাস্ক তৈরি করুন এবং সপ্তাহে অন্তত তিনবার আপনার মুখের উপর এটি ভালোভাবে প্রয়োগ করুন, মুখের লোম থেকে নিস্তার পেতে|
ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।  😊😊

Tuesday 1 October 2019

শিশুর যত্নে তেল

শিশুর যত্নে তেল


Simple Post with all Heading Tags 
 

llentesque vitae lectus in mauris sollicitudin ornare sit amet eget ligula. Donec pharetra, arcu eu consectetur semper, est nulla sodales risus, vel efficitur orci justo quis tellus. Phasellus sit amet est pharetra, sodales ipsum et, sodales urna. In massa nisi, faucibus id egestas eu, fringilla sit amet velit. Integer vel dui eget lacus fermentum ornare ac at nisl. Cras justo urna, lacinia vel massa at, tincidunt posuere lectus. Nulla pretium ultrices velit ut malesuada. In arcu sem, elementum at nunc eu, ullamcorper bibendum lorem. Quisque rhoncus lacinia volutpat. Mauris tempus enim ornare neque rutrum mollis. Sed faucibus laoreet malesuada. Nam est enim, vulputate id porta id, maximus sagittis nulla.
 
 
 
 
 
 

Wednesday 14 August 2019

দুদিনের মধ্যেই কোচ চূড়ান্ত করতে চায় বিসিবি

দুদিনের মধ্যেই কোচ চূড়ান্ত করতে চায় বিসিবি


দুদিনের মধ্যেই কোচ চূড়ান্ত করতে চায় বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

Introducing MOTI, Your Smart Companion And Life Coach



মাইক হেসন-রাসেল ডমিঙ্গো দুজনই ছিলেন বিসিবির সংক্ষিপ্ত তালিকায়। ফাইল ছবিস্টিভ রোডস চলে যাওয়ার পর প্রায় এক মাস প্রধান কোচের জায়গাটা শূন্য। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাইছে দ্রুতই শূন্য স্থান পূরণ করতে। বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জানালেন, কোচ সন্ধানের শেষ ধাপে চলে এসেছেন তাঁরা।
স্টিভ রোডসকে বিদায় করার পর থেকেই প্রশ্নটা হচ্ছে—নতুন প্রধান কোচকে কবে পাচ্ছে বাংলাদেশ? উত্তরটা ঈদের আগে দিতে পারেনি বিসিবি। গত ৭ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর বিসিবির কয়েকজন পরিচালক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এ সপ্তাহের মধ্যেই কোচ চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। সবশেষ যেটা জানা গেল, এ সপ্তাহে না হলেও আগামী সপ্তাহের শুরুতেই কোচ পেয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ।
ঈদের আগে থেকেই বিসিবির সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসনকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু কবে তিনি সাক্ষাৎকার দিতে আসবেন সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনও হতে পারে হেসনের সঙ্গে টেলিফোনেই কথা সেরে নিয়েছে বিসিবি। সাবেক কিউই কোচ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও আছেন। আগামী পরশু বিসিসিআইয়ের কোচ চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত বিসিবি অপেক্ষা করছে কি না সে প্রশ্নও আসছে।

বিসিবি অবশ্য ঈদের ছুটিতেও কোচ সন্ধানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আজ ধানমন্ডির বেক্সিমকো কার্যালয়ে বিসিবির কয়েকজন শীর্ষ কর্তা বসেছিলেন টেলিকনফারেন্সে কোচের সাক্ষাৎকার নিতে। কাল আরেকজনের সঙ্গে কথা হবে তাঁদের। এ সপ্তাহে সাক্ষাৎকারের পর্বটা শেষ করতে চান তাঁরা। কথাবার্তা শেষে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই কোচ চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে বলে জানালেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস, ‘দুদিনের মধ্যে আমরা হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব। বেশি দিন অপেক্ষা করতে চাই না। কেউ ঝুলিয়ে রাখলে আমরা তো ঝুলে থাকতে পারব না! অন্য দল কাকে নিচ্ছে, সেদিকেও তাকানোর ব্যাপার নেই। (সেপ্টেম্বরে) আফগানিস্তান সিরিজের আগে আমরা কোচ চাই। কোচ চূড়ান্ত করার আগে অনেক বিষয় আছে। কেউ যদি বলি ১০০ দিন কাজ করব, সেটায় আমরা রাজি নই। এসব বিষয় চূড়ান্ত করতে যা একটু দেরি হচ্ছে। আশা করি দুদিনের মধ্যে হয়ে যাবে।’
বলিউডে আসছে বছর যাঁদের বিয়ে!

বলিউডে আসছে বছর যাঁদের বিয়ে!

বলিউডে আসছে বছর যাঁদের বিয়ে!

বিনোদন ডেস্ক:


Google Wants To Teach Computers To Create Art From Scratch

বলিউডে ২০১৮ সালে বিয়ের ধুম পড়েছে। কিছুদিন পরপর বিয়ের সানাই বেজে উঠেছে বলিউডপাড়ার এখানে সেখানে। এই যেমন, সোনম কাপুর-আনন্দ আহুজা, দীপিকা পাড়ুকোন-রণবীর সিং, নেহা ধুপিয়া-অঙ্গদ বেদি, প্রিয়াঙ্কা চোপরা-নিক জোনাস। ২০১৯ সালে কয়েকজন বলিউড তারকা জুটি বেঁধে চুটিয়ে প্রেম করেছেন। সংবাদমাধ্যমগুলো পেয়েছে যথেষ্ট রসদ। প্রায় প্রতিদিন দিস্তার পর দিস্তা ছাপা হয়েছে সেসব প্রেমকাহিনি। তাই আশা করা যায়, সামনের বছর বিয়ের আসরে বসবেন এই তারকা জুটিরা। গাঁটছড়া বাঁধবেন। অগ্নিসাক্ষী রেখে সাত পাক ঘুরবেন। নাচ, গান আর মেহেদিময় হবে ক্যালেন্ডারের অনেকগুলো দিন।

কিন্তু এসবের জন্য একটা অপরিহার্য শর্ত আছে। বিয়েতে গড়ানো পর্যন্ত সম্পর্ক তত দিন টিকে থাকতে হবে! সম্পর্কসহ অন্য সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর যে তারকা জুটিরা নামীদামি ডিজাইনারদের বানানো পোশাক পরে বিয়ের আসর মাতাবেন, তাঁদের সম্ভাব্য তালিকা নিয়ে এই আয়োজন।
বরুণ ধাওয়ান ও নাতাশা দালালবরুণ ধাওয়ান ও নাতাশা দালাল         (বরুণ ধাওয়ান ও নাতাশা দালাল)
তাঁরা দীর্ঘদিনের বন্ধু। যাকে বলে শৈশবের বন্ধু আর কী। তখন থেকেই তাঁদের প্রেম কি না, তা বলা দুষ্কর। যদিও ৩২ বছর বয়সী বরুণ ধাওয়ান তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আড়ালে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবুও নাতাশাকে নিয়ে আলোকচিত্রীদের সামনে দাঁড়াতে কখনো কুণ্ঠাবোধ করেননি। কিন্তু করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে এসে স্বীকার করেছেন, তাঁর ভালোবাসার পাত্রী ফ্যাশন ডিজাইনার নাতাশা দালাল।
ফিল্মফেয়ারের সাক্ষাৎকারেও সেই সত্যি স্বীকার করেছেন। বিয়ে কবে? অবধারিত এই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, ‘এই বছর না। আমি বলছি না যে বিয়ে করব না। তবে এত তাড়াতাড়ি না। আমি এই মুহূর্তে অনেকগুলো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ। তাই ঠিকঠাক সময় বের করতে হবে।’
তবে দীর্ঘদিনের এই লাভবার্ড যে বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আপাতত তাতেই খুশি ভক্তরা। তবে ই টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে সেই শুভ সময় আসতে নাকি আর দেরি নেই। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ নাকি ২০২০ সালেই।
রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটরণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট                                                 (রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট)
২০১৮ সালের শুরু থেকেই খবরের শিরোনাম হয়ে আসছেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির শুটিংয়ের একেবারে শুরু থেকেই নাকি প্রেম করছেন এই জুটি। কিন্তু স্বীকার করতে সময় লেগেছে আরও ছয় মাস। আর এখন প্রতিদিন তাঁদের সম্পর্কের বাঁধন নাকি কেবলই শক্ত হচ্ছে! হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি বিয়ে নিয়ে মোটেও ভাবছি না। আমি আসলে বিয়ে নিয়ে ভাবার মতো মানুষ না। যখন সময় হবে, করে ফেলব। এত ভাবার কী আছে! আমি আসলে চিন্তা করে কিছুই করি না।’
কাপুর আর ভাটবাড়িতে যে বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে, এটা বুঝতে আর বাকি নেই। কারণ, বাবা ঋষি কাপুরের ক্যানসারের চিকিৎসা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। তাই রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট মনোযোগ দিয়েছেন নিজেদের বিয়ের পরিকল্পনায়। জানা গেছে, আলিয়া ভাট বিয়েতে কেমন পোশাক পরবেন, এ নিয়ে গত এপ্রিল থেকে পরিকল্পনা শুরু করেছেন। এরই মধ্যে বলিউডের আলোচিত ডিজাইনার সব্যসাচীর সঙ্গে নাকি কয়েক দফা বৈঠক করেছেন আলিয়া। শোনা যাচ্ছে, ২০২০ সালের শুরুর দিকেই বিয়ের বাদ্যি বাজবে রণবীর আর আলিয়ার বাড়িতে।
মালাইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুরমালাইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুর                                          অর্জুন কাপুর ও মালাইকা আরোরা
এই তো কিছুদিন হলো দীর্ঘদিন ডুবে ডুবে জল খাওয়ার পর অবশেষে অর্জুন কাপুর ও মালাইকা আরোরা তাঁদের সম্পর্ককে ‘অফিশিয়াল’ করেছেন। মানে উভয়েই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একে অপরকে হৃদয় দিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। এখন তাঁদের চারপাশে শুধু একটা প্রশ্ন ভেসে বেড়াচ্ছে, বিয়েটা কবে? অর্জুন কাপুর অবশ্য ডেকান ক্রনিকলকে জানিয়েছেন, ‘আপাতত বিয়ের প্রশ্নই আসছে না। আমি ব্যক্তিগত আর পেশাজীবন নিয়ে সুখে আছি। সব সময়ই আমার সব বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছি। শুধু এটুকু বলব, আমি আপনাদের চমকে দেব না। জানিয়েই বিয়ে করব। গণমাধ্যম অবশ্যই আমার বিয়ের দাওয়াত পাবে।’
শোনা যাচ্ছে, তাঁরা নাকি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট নিয়েছেন। সেখানেই একসঙ্গে থাকছেন। বিয়ের সব প্রস্তুতিও সেরে ফেলছেন এক এক করে।
ফারহান আখতার ও শিবানী দান্ডেকরফারহান আখতার ও শিবানী দান্ডেকর                                   ফারহান আখতার ও শিবানী দান্ডেকর
২০১৬ সালে ১৬ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি ঘটে ফারহান আখতার ও স্টাইলিশ অধুনা ভবানীর। এরপর ফারহানের সঙ্গে কিছুদিন শ্রদ্ধা কাপুরের নাম শোনা গিয়েছিল। তারপর ফারহানের জীবনে আসেন শিবানী দান্ডেকার। আসেন এবং হৃদয়ে স্থায়ী আসন নেন। প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের ছবি ভালোবাসার উষ্ণতা ছড়ায়। প্রথম তাঁদের একসঙ্গে দেখা গেছে দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংয়ের বিয়েতে। তারপর নিউইয়র্কের রাস্তায় হাত ধরে হাঁটার ছবি এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তারপর তো প্রায় নিয়ম করেই এই জুটি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন তাঁদের ভালোবাসার মুহূর্ত। ফারহানের দুই কন্যা সাক্ষ্য ও আকিরা নাকি শিবানীকে খুব পছন্দ করে। তাহলে বাধা কোথায়! এবার ফারহান-শিবানীর পরবর্তী কদম যে বিয়ে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই বিয়ে সামনের বছরে হতে বাধা কোথায়?
রোহমান শল ও সুস্মিতা সেনরোহমান শল ও সুস্মিতা সেন                                          সুস্মিতা সেন ও রোহমান শল
২৭ বছর বয়সের র‌্যাম্প মডেল কাশ্মীরের ছেলে রোহমান শলের সঙ্গে ৪৩ বছরের সুস্মিতা সেনের প্রেম এরই মধ্যে বেশ জমে গেছে। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বলিউড তারকা সুস্মিতা সেন বলেছেন, বিয়ে নয়, এখনো প্রেম করে বেড়াচ্ছেন। প্রেমের মধ্যেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন আনন্দ। সুস্মিতা সেনের দুই দত্তক নেওয়া কন্যা রেনি আর আলিশাও রোহমানকে খুব পছন্দ করে।
এবার জানা গেছে, সস্মিতা সেন বিয়ে করতে যাচ্ছেন। প্রেমিক রোহমান শলকে বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন ১৯৯৪ সালের ‘মিস ইউনিভার্স’ সুস্মিতা সেন। ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের ভারতীয় সংস্করণ জানিয়েছে, এ বছর নভেম্বর বা ডিসেম্বরে বিয়ে করবেন সুস্মিতা সেন ও রোহমান শল। আর এই বছরে যদি নাও হয়, তবে পরের বছর হবে, তা নিশ্চিত।
রোহান শ্রেষ্ঠা ও শ্রদ্ধা কাপুররোহান শ্রেষ্ঠা ও শ্রদ্ধা কাপুর                                                    শ্রদ্ধা কাপুর ও রোহান শ্রেষ্ঠা
ব্যক্তিজীবন সব সময়ই গণমাধ্যম থেকে আড়ালে রেখেছেন শ্রদ্ধা কাপুর। এর আগে ফারহান আখতার আর আদিত্য রয় কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন উঠেছে। শ্রদ্ধার বাবা শক্তি কাপুর অবশ্য এসব বিশ্বাস করেননি। বলে দিয়েছেন, এগুলো ডাহা মিথ্যা। কিন্তু কাছের বন্ধু ও আলোকচিত্রী রোহান শ্রেষ্ঠার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাবা আর মেয়ে দুজনই ঘুরিয়ে–পেঁচিয়ে এমন সব উত্তর দিয়েছেন, যাকে ইংরেজিতে বলে ‘ডিপ্লোম্যাটিক’।
এর আগে শ্রদ্ধা কাপুর নিজের বিয়ে নিয়ে বলেছেন, ‘বিয়ে একটা চমৎকার ব্যাপার। বিয়ে করার জন্য একটা মানুষকে পাগলের মতো ভালোবাসা দরকার। তাঁর সঙ্গে পুরো জীবনটা দেখতে পেতে হবে। এটা সারা জীবনের প্রতিশ্রুতি। সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত।’
মুম্বাই মিরর বলছে, আগামী বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন দুই তারকা শ্রদ্ধা কাপুর ও রোহান শ্রেষ্ঠ। এমনকি বিয়ের আয়োজনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। শ্রদ্ধার মা শিবাঙ্গি কাপুর বিয়ে নিয়ে আইডিয়ার বিশাল তালিকা তৈরি করেছেন। যদিও শ্রদ্ধার আগামী বছর যাবে বেশ ব্যস্ততায়। কারণ, ‘স্ট্রিট ড্যান্সার থ্রিডি’ ও ‘বাঘি থ্রি’ সিনেমা দুটি রুপালি পর্দায় আসবে ২০২০ সালে। অবশ্য শ্রদ্ধা বিয়ে করেও সিনেমা চালিয়ে যেতে পারেন। বিয়ে হওয়ার পরে ক্যারিয়ার শেষ হবে, এমন আশঙ্কা নেই বলিউডে।